সাবিহা জাহান তোয়া (আমতলী) বরগুনা,প্রতিনিধিঃ বরগুনার
আমতলীতে পুলিশের উপর বিএনপির হামলার ঘটনায় ৩৪২ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এছাড়া হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে সোমবার বিকেলে আটক ১৩ জন নেতা কর্মীকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় আমতলী উপজেলা বিএনপি ও এর অংগসংগঠন একেস্কুল চৌরাস্তা মোর এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সভা শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির ছোড়া ইটের আঘাতে এসআই দাদন মিয়া, এসআই শহীদুল আলম হাওলাদার, এএসআই কামালা উদ্দিন মিয়া, এএসআই সোহরাব, সিপাহি কবির খান আহত হন।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার সময় আমতলী থানার এসআই মো. ইউনুস আলী বাদী হয়ে বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুনসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক ১৩ নেতা কর্মীকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী এসআই মো. ইউনুস আলী ফকির বলেন, সড়ক অবরোধ করে বেআইনী সমাবেশ ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩১০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামীরা হল বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামানি হিরু, তুহিন মৃধা, যুবদলের সভাপতি কবির ফকির, ছাত্রদলের সভাপতি নাজমুল হাওলাদার, যুবদলের সদস্য কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, মৎস্যজীবি দলের উপজেলা সভাপতি কবির তালুকদার।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, পুলিশ বিনা কারনে আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে লাঠি চার্জ করেছে। এতে আমাদের ২০-২৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। সভাপতিসহ ১৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বেআইনী সমাবেশ করে সড়ক দখল ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৩২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩১০ জনকে আসমী করে সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। আটক ১৩ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।